কক্সবাজারের টেকনাফে তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি রশিদ আহমদ ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) রশিদ ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছিলেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে তাদের আরও প্রায় ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য মিলেছে। এ অভিযোগে সংস্থার কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আকিব রায়হান ও উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র সাহা মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করেছেন।
রশিদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্পদ বিবরণীতে রশিদ নিজের ৫১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। তবে দুদক যাচাই করে তার ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পেয়েছে। সেই হিসাবে তিনি ২৮ লাখ ২১ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন।
অন্য মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রশিদের স্ত্রী মাহমুদা বেগমের জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়। তবে তার সম্পদ পাওয়া গেছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। তিনি ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক জানায়, ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় ১০২ ইয়াবা কারবারির সঙ্গে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার রশিদও আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপরই তার পারিবারিক সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন
বলেন, মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত